এইখানে শামীম আশরাফের ৫টি কবিতা আছে। শামীম কবিতায় সিরিয়াস না। সিরিয়াস হলে অনেক ভালো করতে পারতো। যাইহোক কবিতায়তো অনেক ধরণের টোনের খেলা থাকে। এর মাঝে যা কিছু বলতে চাওয়া এটাই বোধকরি জরুরত। কে কিভাবে বললো সেটাই হচ্ছে তার ধরণ। আমরা আসলে ভাষার সেই জায়গাগুলোতে নজর দিতে চেয়েছি মূলত। শামীম কবিতায় জড়তা পুষে। কেমন জড়তা ধরেন – পাখিদের ভাত ছিটাইয়া দিতে হবে। এক জায়গায় রেখে দিয়ে নয়। এই ছিটাইতে জানাটাই হইলো কবিতা। এতে এক্সপ্লোর করার মতন ব্যাপার থাকবে মনে করি। তো পাঠক কিঙবা দরদী শামীমের জন্মদিন উপলক্ষ্যে
কিংবদন্তি র পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা।
একটা ছবি হয়ে থাকা সংসার
তোমাকে লিখছি, যেখানে আটকে আসছে
আমাদের সম্পর্কের টুকটাক দেখা
জীবনের শোভা থেকে ভাবি
জীবন যেন বুনোফুলের দোলা
যা থেকে কিছুটা রঙ তোমাকেও দিয়েছিলাম
কোন অজানায়, এমন তো হয়
সংসার আমাদের
কত কত অভিমানের দাগ টানা
ছোট ছোট ছাড়
সেখানে না জানি কত কত ভারি
একটা দীর্ঘশ্বাসের আনাগোনা
মক্তব
মায়াবী ভুলে নেমে এসেছে যে ভোর
সে পথে এমন ছিল
একটি মক্তব
কিতাবের ভাঁজের আড়ালে যে কিশোরী রাখে
ময়ূরের পেখম
তাকে দেখলে মনে হয় জরিন ছড়ানো
সুন্দর এক পালকের দিন
কোথাও ডেকে ওঠে কোকিল
আর মানুষে বিঁধে থাকে
বিষাক্ত কথার ছোবল
গাছেদের পায়ের ছাপ
আজ এই বসন্ত নাচছে যেন
বাতাসের নাচ
ফুলের কাছে
বারান্দায় আমি কিছু ফুল গাছ লাগাইতে চাই। ফুলের অভাব আমার বুকের ভেতর মায়ের অভাব হয়ে ঝিমায়। এদিকে শীতকাল চলে যায়। তামোকে বলি- এই যে গ্রাফিটি থেকে ব্রহ্মপুত্রে যাই, দুনিয়ায় এমন যাতায়াত, এইখানে আমার আনন্দ শুকানোর বেলা। আমার রোদ পুষা আরাম। যেন চায়ের কাপে চুমোক দিয়ে বলতে পারাটা, জীবনে দুঃখ করোনা। ভাবছি, সামনের শীতে বরান্দায় ছোট ছোট ঝুলানো টবে কিছু ফুলের গাছ লাগাবো। ফুলের কাছে থাকবো, খুউব রঙ হয়ে দু’ জনে।
ছদ্মবেশ
সামনে যে আমার ছায়া
সে আমার দানব
আয়নায় আমার ভীষণ ফণা
আয়নার সামনে দাঁড়ালে
আমিই আমাকে ছোবল দিতে দিতে
নিজেকে আর মানুষ ভাবতে পারিনা
মঞ্চ
পুরোটা জুড়েই রোদের দুপুর
একটা মঞ্চ বানানো হয়েছে, তাতে আজ
বসন্ত বরণ অনুষ্ঠান
মঞ্চে চঞ্চল অথবা নিস্তব্ধতা
তুমি ফিরছো অনেক দূর হতে ফুল খোঁপায়
সামিয়ানার উপরে বসে যে পাখিরা গান গায়
ওদের ভাষা বুঝতে না পারায়
আমার কাছে মনে হচ্ছে বৃথা