নদীচয়ন
(ক)
তিরোহিত সুবঙ্কিম চকোর এরা! করতলগত সপ্নগুলোকে ভাবিনি আমি, সামনে পেলাম তোমাদের! প্রায়–তিরোহিত; স্বীয় পথের— আচ্ছন্ন বসতির খোঁজ পেলে যেমন ভালো লাগে জীবন–যাপন।
প্রবাহিত জলস্রোত-এ প্রস্থানপর কিছু কি আছে? যে পথ-সরীসৃপ-কিংবা উডেন শিপ—ঢেকে রাখে অনুরঞ্জিত যুদ্ধক্ষেত্রের প্যাজলগুলো! জল-বর্ণের একেকটি প্রতিমা, কেই-বা রূপান্তরিত শপথ—কলঙ্ক সদৃশ, কম্পিত মেহরাব লিপিকা? কাকে বৈরি দেহের যুগে গ্রহণ করে—পরীক্ষিত কিশলয়? আকীর্ণ রেকাবের—দূরহ মনযোগে; প্রান্তর ছেয়ে গেলো। একেকটি প্রতিমা দিনমান ভেসে আসছে, আসুক! জানতে পারবে হয়তো তনু-বিরাম, গুঞ্জরিত নিরাময়ের প্রতিপালন; কর্পূর সিক্ত প্রতিশ্রুতি এবং ভোরবেলার পূর্ণ কুশওয়াদ!
(খ)
আমি না এসে, পৃথিবীতে অন্য আরও কয়েকজন এলে ভালো হতো। মাটি খুড়ে পিঁপড়ের মতো ঘরে মজ্জায় এলেও হতো। শুধু আমি না এসে, অন্য আরও কয়েকজন এলেই কি ভালো হতো? পানীয় দ্বারা পূর্ণ রাখা হয়, এই হলো পানীয় এর সঙ্গে কোন নদীর সজ্জিত লাজারুণ। প্রেমের ভেতর যে ‘মুন—চে—হারা’ পথ রয়েছে, তন্তুসমূহ পরিধেয়; এবং অভিপ্রায় শ্রবণের ! আমি না এসে বপন করেছি, ধুয়ে ফেলেছি রক্তচিহ্ন—এতদিনে যে কোন জানালার সামনেও সে লালফুল এর কানন—আঘাত করে—এমন কি অনুরূপ অতন্দ্রভাব উপলব্ধি করে—দ্যায়! চন্দন-আবলুস প্রভৃতি মূল্যবান কাষ্ঠ দৃষ্টিপাত করে, বাস্পকুল সাবলীল জলের দিকে। অনুকম্পার—ছায়া কখনো দ্বার খোলে, সুপ্ত হলেও সরে দাঁড়াও! এই রকম প্রসারিত হবার কারণ আছে কি? আমাকে দেখাতে না হয়, তাই অশ্ব! এ তবুও কিছু নয়—। স্বীয় অনুচর—কর্ণগোচর হচ্ছে—অভূতপূর্ব স্বর্ণময় সোনালী সে অনুচর নয়!
বিস্মৃতির উঠো
নেমে এসেছে অপরাহ্নের হরিণদল; ভিষিক্ত অরন্য ভুলে নেমে এসেছে; রক্তবর্ণ ফুল! এগিয়ে যাচ্ছে ক্ষীনতনু; প্রহরণ ভোলা— এই আবির্ভাব এ কেন, শীতের উপযোগীতা প্রতিবিম্বত রয়েছে? উপবিষ্ট দেবদারু নি:শ্বেস হলো পাতা জড়াতে জড়াতে; উন্মূলিত দেবদারুর ভিতর! অবিচল থাকে হাঁসের চক্ষুতে, কেন ভস্মীভূত শার্দুলের ঐশ্বর্য? সমারোহন প্রত্যাবর্তন; সৌভাগ্যসূচক অস্ত্রশস্ত্র নির্মাণের স্বস্তি দিচ্ছে—যশস্বী আগুন! কোথাও নিক্ষিপ্ত বৃষ্টি!
নিদ্রার্পণ মাত্রা
জমে থাকে সন্ধ্যা; হীরক-কঠিন ফলাযুক্ত এই প্রত্যুত্তর; আমাকে ঘিরে রাখে! তোমার প্রেম। দূর্গ; দূরাগত জোনাকী; রওয়ানা হলো আরও অনেকেই! আমাকে শোণিত রাখে; দেখো অবতীর্ণ হওয়া; হাওয়ার সঙ্গে স্পার্টাকাস প্রবাহিত। বিদীর্ণতা জানাবার; আর কোনও স্থল নেই। এখন এ হৃদয় দ্বিগুণ—সংক্ষিপ্ত রাখি অনুরূপ আরও অনেক অনুভব! শ্রুতি আচ্ছন্ন ঘোড়াটি প্রার্থনা করে একা—ঘাসের কণ্ঠহারে; ছোট ছোট রঙিন আরও ঘাসে!
ধূলোর স্বরূপ
হাওয়া; বাঁক নীলে—মসৃণ দাগগুলো ওদের বিভূতি জড়ো করলো; একসাড়ি গ্রামের ভিতর; সিন্ধু দে-শ একদল অনড়আদি বৃক্ষ! প্রতিটি পাতায় তরনী ডুবছে, কিন্তু নদী প্রহেলির দীর্ঘ বিস্ময় নেই। দূর ব্রিজ থেকে কালক্রমে রূপমন্দির ভেঙে নামছে; গড়িয়ে আসছে কোলন ছোঁয়া দৃশ্যের শহর! রূপালী বেড়ালের পদচিহ্ন ছড়িয়ে পড়ছে! দূরলক্ষ্য শল্যের দিকে—ভাসমান ছোঁয়াছে অবনতি—ছাউনি—নিদ্রাহীন জ্যামিতি—ডাহুকের ভিতর নুপুরধ্বণি—ভিষণ অশ্বতার—মৃত্যুর—ছোটো-ছোটো, নীড় বাড়ছে!
গ্রামে পাওয়া বাস
তুমি তোমার বিক্ষত বাগান দেখাও, যেনো পাহাড়ের ধ্বণি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, সুর।
রাতে যখন ঘুমুতে যাই, দেখি চাঁদের আলো
বিছানায়,অর্ধেক চেরির’ডাল নিয়েছে নির্বিঘ্নে! কেউ পারে কি ঠ্যালে সরাতে ওভাবে, যেভাবে ঘুমন্ত বাস কে ঠ্যালে নেয় অনেকে শশ্রূষার দিকে—?