দর্শন
পৃথিবীর সমস্ত হাটে পৌঁছে গেছে অ্যাবসার্ডিটির ছায়া…
কি এক মর্মান্তিক তানপুরার সুর ক্রমশ ছেয়ে যাচ্ছে আমাদের!
মন্দার স্রোতে ভেসে চলছে ক্যালেন্ডারের পাতা
এই ঘোরতর পতনে
স্যুটকেসের ঠোঁটে খাবার জমিয়ে রাখি
পান্ডুলিপির বন ঘেঁষে
যেন বেলফুলের সাধনা ইন্দ্রিয়দোষে
সিগারেটের মত সাদা কোন সারস না হয়ে যায়..!
সন্ধ্যার প্রামান্যচিত্র
সভ্যতার গল্প শুনতে শুনতে
পাহাড়ি শিশুদের চোখে নেমে এলো উপনিবেশী ঘুম
এসব দেখে নিয়েছি লং শটে আর..
কয়েকটি কলোনিয়াল জুতো এসে
কোকা-কোলার মত খেয়ে নিচ্ছে সমস্ত মগজ
যে দৃশ্য দেখে ক্যামেরার প্যান হাসতে হাসতে ক্লোজ শটেই জিরো হয়ে যায়
তবুও চলে নাগরিক অভিনয়
পরিত্যক্ত কারাগারে…।
বিশুদ্ধ আত্মার নামে দেখো
হেজিমনির জামা গিলছে এক এক করে।
নপুংসক থিওরিস্ট
রেইনট্রির স্বভাব ইন্দ্রজাল বুনে বুনে চলেছে সিভিল ইঁদুরের মতো…
তবুও মনোজ্ঞানের চোখে এসব ইল্যুশন
বলেই দূরে সরে যাচ্ছে মস্ত বড়ো বড়ো
নপুংসক থিওরিস্ট
অথচ দ্যাখো পাহাড়ের অস্তিত্ব ভূগোল থেকে ক্ষয় হয়ে আগ্রাসনের কোলাহলে
বজ্রপাত হচ্ছে দ্যূতক্রীড়ার পাশবিক আসরে।
বৈশেষিক ভ্রমণে
হরিধ্বনির সুর পৃথিবীর কোলে কোলে দুলছে…
হরি হরি বলে
এসব শাস্ত্র সংগীত বাজানোর পিছনে
কে আছে…
যোগাসনে ডুবে তর্জমা করে দেখি
কিছু হাতপাহীন নপুংসক
উত্তেজিত পর্নোগ্রাফির অভিনেতা হয়ে
অর্থনীতির বাজারে মন্দার পারফরম্যান্স করছে ভাদ্রমাসের উৎসবের মত
এই মাতৃকায় বায়োলজিক্যাল দর্শনে সাংখ্য-যোগ তন্ত্র ছাড়া কিছুই নেই
কার্তিকের জোৎস্নায় স্নান করতে করতে
অগ্রহায়ণে পৌঁছে খনার তত্ত্ব পড়ছি হেমন্তের কোলে…
এখানে কালো বিড়ালের মত
নিস্তব্ধ রাতে…
তারা মাছের ডান্স দেখি
আষাঢ় মাসের বৃষ্টির ভাঁজে
আহ্ কি অদ্ভুত বৈশেষিক ভ্রমণে
যেন শ্রাবণের শরীরে সেতার বাজিয়ে
যাচ্ছি…
বুদ্ধের এসথেটিক থিওরীর মত।
জ্ঞান কাণ্ডে ডিকনস্ট্রাকশনের ফল
এক.
মগজের অগোচরে আঁতেলের ফল ধরে আছে
জ্ঞানের কাণ্ডে কাণ্ডে
বাঞ্চোদ জীবন যাকে বোধের ফল ভেবে গলাধঃকরণ করে যাচ্ছে চিরকাল…
এমন মর্মান্তিক দুনিয়ায় ক্রমে রাতকানা রোগ নামে
সূর্যমুখী মননে ফোটে না কোন সূর্যের ফুল।
দুই.
আমারই বৃক্ষ যেন পরগাছার মতো মুড়িয়ে নিচ্ছে শত্রু অসুখ
বিষাক্ত চিনি খোঁজে কিছু পোনা মাছ
বিভোর মৃত জলের বুকে
এসব দৃশ্য পাপি চোখ দেখে যায় সিনেপ্লেক্সের চরিত্রে পরিযায়ী ভঙ্গির ভেতরে
যেখানে ধ্যানরত একেকটি আপেক্ষিক রোগাক্রান্ত মোমের আলো।