করোনার কারনে সারা পৃথিবী লকডাউন। বাইরে যাওয়া নিষেধ। খাওয়া, ঘুম আর পড়াশোনা করা ছাড়া কোন কাজ নাই। আজ এক সপ্তাহ ধরে কথা সাহিত্যিক জাকির তালুকদার পড়তে ছিলাম। এর মধ্যে কোন কবিতা পড়িনি।
হঠাৎ মনে হলো বই মেলায় কেনা বইগুলো একটু দেখা দরকার। সেল্ফ থেকে অনেকগুলো কবিতার বই বের করলাম। একটা কবিতার বই, দেখলাম নামটা কিছুটা অভিনব। বড়ো করে লেখা “সুখসমগ্র” নিচে ছোট করে ওয়েস্টর্ণ কায়দায় লেখা “লিখে গেছে হাওরের জল”। একটু আলাদা বইটার নাম “সুখসমগ্র লিখে গেছে হাওরের জল”। কবি ফেরদৌস জান্নাতুল। ফ্ল্যাপে লেখা দেখলাম এটা কবির সপ্তম বই।
প্রথম কবিতায়ই চোখ আটকে গেলো। আমরাই যেন পৃথিবীর পরিচর্যা করি। আমাদের জন্যই পৃথিবীর আয়ু বাড়ে কমে। সত্যিই এ পৃথিবী নামক গ্রহকে আমরা অনেক উত্যক্ত করেছি। আমাদের অত্যাচার পৃথিবী সহ্য করতে পারছে না। এ জন্যই আজকের এ মহামারী। পৃথিবীর রাগ, ক্ষোভ, ক্ষত কবিকে আহত করে এবং মাতৃত্বের পরম মমতায় তাকে আদর করে। পৃথিবীও যেন রক্ত মাংসের কোন প্রাণী।
কবিকে ভবিষ্যতদ্রষ্টা হতে হয়। তাই বলে এমন করে কবির কথা ফলে যাবে।
“বোবা পৃথিবী একদিন
কথা বলবে
মিশে যাওয়ার শ্লোগান হবে
ভিন্ন” (বিবর্তন)
বোবা পৃথিবীর দ্রোহের শ্লোগান হলো আজকের মহামারী করোনা। এ পৃথিবীর প্রতিও যে একটা দায়িত্ব কর্তব্য আছে এবং প্রকৃতিকে ভালোবেসেই তার সান্নিধ্যে থাকতে হবে সে কথাই কবি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়।
“আমাদের হাত ধরে
পৃথিবীর আয়ূ বাড়ে
অতঃপর
পৃথিবী ধাবিত হয় সম্মুখে” (বিবর্তন)
বাংলা কবিতার ভিতরে লিরিক না থাকলে কেমন জানি এলিয়ে পড়ে। লিরিকটা আসলেই থাকতে হয়। ফেরদৌস জান্নাতুলের কবিতায় লিরিকটা আপাত বোঝা যায় না কিন্তু একটু মনোযোগ দিলেই আমরা তার স্পন্দন পাই। তিনি ছোট ছোট লিরিকে বুনতে থাকে দারুণ সব অদেখা ভূমি। যে ভূমি আমাদের পরিচিত কিন্তু অদেখা। নতুন সম্ভাবনাময়।
“আমার মাঝের অন্য আমিতে
দেখেছি সেই জেগে ওঠা বালুচর” (জেগে ওঠা বালুচরে)
কবি যেন নিজের কাছেই নিজে অচেনা। বালুচরের মত নতুন স্বপ্ন দেখায় চরে বসবাসরত মানুষকে। নদীতে চর জাগলেই নতুন স্বপ্ন। নতুন ফসল। নতুন সুখ। যে জলজ সুখ জলের উপর লিখে রাখে জলে বসবাসরত পাখি বা পাখিরুপি মানুষের দল। মানুষ তো এক ধরনের পাখিই। পাখির সুখ, দু:খের কাহিনি সুখসমগ্র। রবীন্দ্র নাথের ভাষায় বলতে হয়- “সুখের মতো ব্যথা”।
নগর যন্ত্রণায় কাঁপছে পুরো দুনিয়া। মানুষ ব্যস্ত। প্রকৃতির কাছাকাছি আসবার সময় মানুষের নাই। বদ্ধ ঘর বা বদ্ধ অফিসেই বন্দী মানুষের আবেগ। কৃত্তিম ফ্লেভারে নিয়ে নেয় প্রকৃতির ঘ্রাণ। মন তবু স্থির হতে চায় না। ফিরে যেতে চায় স্নিগ্ধ ভোরের ভেঁজা বাতাসের কাছে। অলস বিকেলের কাছে। কিন্তু সে এমনভাবে শিকড় গেড়ে ডালপালা মেলেছে তার কোথাও যাওয়া হয় না
“বহুদিন ভোরও হয় না দেখা
ভোরের শুভ্রতা পাই
স্নিগ্ধ চায়ের কাপে” (কল্পনা অনুলেপন)
তারপর দেয়ালে স্মৃতির ঢিবি জমতে জমতে কবি ঠিক একদিন প্রকৃতির কাছে চলে যায় এবং প্রাণময় সতেজ হয়ে ফিরে আপনগুহায়।
কিন্তু প্রকৃতির কাছে ফিরতে চাইলেই কি ফেরা যায়? আমরা কি সব সময় ইচ্ছে করলেই প্রকৃতির অবারিত রূপ দেখতে পারি? না। কারন আমাদের যন্ত্রজীবনের ব্যস্ততা। জীবনের নানান প্রয়োজন আমাদের আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে সংসারে।
“কত ক্রোশ পাড়ি দিয়ে দেখব তোমায়
কতদিন দেখি না সাদা কাশবন
বুনো হাওয়ার শিস
হরিণের খামখেয়ালি খেলা” (স্মৃতিমন্থন)
সাদা কাশবন, হাওয়ার শিস, কোন এক হরিণদিনে হরিণের খেলা দেখা আর হয় না।
“তবে কি ছেড়েছে ট্রেন
অবিরাম
না ফেরা কোন মেরুতে!” (স্মৃতিমন্থন)
আমরা প্রতিদিন হারায়ে ফেলি এমন হরিণদিন। এবং এমন দিন দেখতে আর কোন দিনই আমরা সেখানে ফিরতে পারি না।
আমরা যা বলতে চাই, তা সবটুকু ভাষায় তুলে আনতে পারি না। মানুষের এমন সূক্ষ্ম ভাব আছে যা সে ভাষায় কখনোই তুলে আনতে পারে না। নিজের ভাবনায় সে পলে পলে দগ্ধ হয় কিন্তু প্রকাশ করতে পারে না। যা তার একান্ত ব্যক্তিগত এ ভাবনার কোন বিনিময় হয় না। এটাকে আমরা বলি স্পিরিচুয়াল বা আধ্যাত্ত্বিক; প্রকাশের অযোগ্য ভাব। এ ভাব শুধুই অনুভবের প্রকাশের গলি পথ তার অনাবিস্কৃত। এখানের ভাষার সীমাবদ্ধতা
“নীরবতা ভেঙ্গে পূর্ণস্বরে
রুদ্ধশ্বাস কেবলি কণ্ঠ চেপে ধরে
পাশকেটে শব্দরা মাথানত করে” (শেকল)
কবি যখন বলে- “আঁধারেরও চোখ আছে” (শেকল)
তখন পাঠক অন্য কোন এক অজানা জগতে প্রবেশ করে একটু দাঁড়াতে হয়। তাই কি? আঁধারের কি চোখ আছে সত্যিই? আমরা যা খালিচোখে দেখি না। তবে সে চোখ কেমন করে জগতকে দেখে? পড়তে পড়তে মন শীতল হয়ে যায়। চিন্তার অজানা অচেনা অতিন্দ্রিয় ভুবনে আমরা বিচরণ করতে থাকি। ভাবনার গতি পথ পাল্টে যায়। তাহলে কি আলোর ঘণীভূত রূপই কি আঁধার? সাধারণ আঁধার হয়ে ওঠে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য জীব। যার আছে নিজস্ব জগত। যে জগতে মানুষ জীবনের অনুসঙ্গ; এমন শতধা ভাবনার ডালপালা মেলে।
কিছু কথা থাকে আড়ালে, যা আমাদের চোখের সামনেই ঘটে কিন্তু আমরা তা লক্ষ করি না। আমরা প্রতিনিয়ত দেখি, সকলের সামনেই ঘটে, আমরা চোখ দিয়ে দেখি কিন্তু হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করি না। তার জন্য আমাদের একটু অন্যভাবে সচেতন হতে হয়।
মেঘ আমাদের পৃথিবীকে শীতল করে, শুষ্ক মাটিকে ভেজায়, ফসলের উপযুক্ত করে তারপর বীজ বপন করলে ফসল ফলে মানে আমাদের খাদ্যের সংস্থান হয়। তার মানে মেঘের সাথে আমাদের জীবনে সম্পর্ক। যাক আমরা আগে কবিতাটা পড়ে আসি-
আড়ালে অনুভূতি
মেঘ ও মায়ার মতো কিছু টানে
রাত্রির ঘরে ডুবে থাকি
আধাঁরের দুয়ার ভেঙ্গে জাগব বলে।
কিছু দেশলাই জ্বলে, নিভে, দোলায়
এভাবে আসে অসংখ্য ঝিঁঝিঁরা।
জলও দোলে স্রোতের টানে
আমিও আড়াল হই
অবিরল
হতেই থাকি
রাত্রির ঘর মানে যে ঘরে মানুষ পরম শান্তিতে ঘুমাতে আসে। সারাদিনের ক্লান্তি শেষে নিশ্চিন্তে নির্ভাবনায় যে ঘরে সে বিশ্রাম নিতে পারে। যে ঘরের পরতে পরতে শুয়ে থাকে মায়া। সে ঘর থেকে শক্তি সঞ্চয় করে প্রতিদিনের আধাঁর বা ছোট বড়ো জঞ্জাল বা বাঁধা সে দূর করে। জীবনের দেশলাই সে জ্বলায়, নিভায়, দোলা বা জীবনের বাঁকে বাঁকে সে নানান কাজে যুক্ত হয়। সংসার তো মেঘের মতো শান্তি ও ফসলের আহবান, যা ঘিরে থাকে মায়া। সে ঘর আলো করে আসে ঝিঁঝিঁরা মানে সন্তান। সারা ঘরময় অকারন পুলক ছড়ায়ে দেয় সে ঝিঁঝিঁর দল।
জলের হালকা দোলায় নড়ে উঠে আমাদের জীবনের নাটাই। আমরা সন্তানদের মাঝে বেঁচে থাকতে চাই, অবিরাম আড়াল হই। কী দুর্দান্ত জীবনে গল্প, যে জীবন আমরা প্রতিদিন দেখি বা যাপন করি তাই কবির কাছে ধরা দেয় অন্য ব্যঞ্জনায়।
কবির যে যাপন, কবিতার জন্য তার যে অসামান্য ত্যাগ সেটা বয়ান করেন “কথা ও কবিতা” নামক
কবিতায়-
“প্রশ্ন এলো আবার- জ্বলছ কতদিন, ভেবেছো কতো সন্ধ্যা,
চোখের ভেতরে চাবুক মেরে দেখেছ কি?
কোন রঙের রক্ত ঝরে?”
এখানে কবি নিজেই কবিতা। এ কবিতার হাত আছে, পা আছে, দুঃখ, শোক, যাপনে আস্তিত্ত্বশীল আলাদা মানুষ। যে ডুমুরেরফুল সন্ধানের মতো সন্ধান করে কাব্য লক্ষীকে। কাব্য লক্ষী নিজে উত্তর দেয়- কতটা জ্বলেছ, কত সন্ধ্যায় কবিতার জন্য প্রার্থনা করেছিলে, কতটা রক্ত ঝরেছিলো বুক থেকে? কাজী নজরুল ইসলাম যেমন বলেন- “আমার এ ধুপ না জ্বালিলে গন্ধ কিছু নাহি ঢালে” জীবনকে পুড়িয়ে পুড়িয়ে লিখতে হয় কবিতা। এখানে কবি শুদ্ধ শব্দ শিল্পের সাধক। এতো শ্রমে ঘামে যে কবিতার শরীর বুনন তা একদিন বৃথা হবে তাই সে অমরতার স্বপ্ন দেখে কিন্তু এ মায়াময় জগতে যে কিছুই অমর নয়-
একটি দোয়েলের কান্না
প্রত্নতত্ত্ব হতে আসিনি
কালের সাক্ষী হতে আসিনি
টিকে থাকার উন্মুখ বাসনায়
তোমাদের সঙ্গী হতে এসেছি।
ধীরে ধীরে সব বাষ্প হয়
ঘুরতে ঘুরতে সেও শূন্যে মিলায়
জানি- একদিন সব বৃথা হবে
তবুও তো দেয়াল হয়ে
দেয়ালেরই কান্না দোলায়।
এ নশ্বর পৃথিবীতে কিছুই অমর নয়, সকল কিছুই মৃত্যু ভয়ে সদা কম্পমান। কবির সচেতন মন এসব জানে এবং বোঝে কিন্তু কবির শিল্পীসত্ত্ব অবচেতনে অমর হতে চায়, টিকে থাকার বাসনায় সে উন্মুখ তাই সে আমাদের চলার পথে সঙ্গী হতে চায়। একদিন ব্যবিলন, হরপ্পাও ইতিহাস হয়। কালের গর্ভে হারিয়ে যায় কতশত মহামানবের অমৃত বানী। রবীন্দ্রনাথও একদিন মিথ হবে, আমরা এক রবীন্দ্রনাথ থেকে অন্য রবীন্দ্রনাথের দিকে এগিয়ে যাব। তারপর সকল রবীন্দ্রনাথও বৃথা হয়ে যাবে, তখন নিজের কান্না নিজেই শুনে শুনে অনন্ত নিরবতায় পতিত হবো।
কবির মৃত্যুচেতনা প্রবল, তবে তিনি এ অমোঘ সত্যকে অস্বীকার করে নয়, বরং স্বীকার করেই, জীবনের রূপ-রস নিতে চেয়েছে। সন্তানের মধ্যে জীবনকে প্রবাহিত করেন, জন্ম-মৃত্যু যেন অবিরাম যাওয়া আসা, মৃত্যু মানে শেষ কিছু নয় বরং রুপান্তরের মধ্যে ফিরে আসা-
অবিরাম যাওয়া আসার ছায়া হয়ে
সাথে চলে। (প্রবাহ অবিরাম)
বা
জলও দোলে স্রোতের টানে
আমিও আড়াল হই (আড়ালে অভিভূত)
কবি ফেরদৌস জান্নতুল যাই বলুক, জীবনের বাইরে বা অদৃশ্যে তার কোন সংসার নাই। বরং কবি খুব জীবন ঘনিষ্ঠ, তবে জীবনকে দেখার নানান পথ তিনি আবিষ্কার করেন অবিরত। একেক কবিতায় তিনি প্রকাশের ভাষা ও ভঙ্গি নতুনভাবে নির্মাণ করেন।
ফেলে দিয়েছি হাত জানালা দিয়ে বাইরে
একমুঠো রোদ তুলে এনে ছুঁড়ে দিলাম অন্ধকারে
আলোকিত হোক তবে বাতায়ন।
দূর্বাঘাসে কেটে রেখেছি পা
ঘাসরঙা আলতায় আলপনা হোক বেলা শেষে।
চোখদুটো খুলে রেখেছি আয়নায়
নতুন করে নিজেকে চিনে নিক তবু।
(এক টুকরো চাওয়া)
ম্যাজিকরিয়ালিজমের সার্থক প্রকাশ কবিতাটিতে দেখতে পাই। নিজের জীবন মূলত নিজেরই। শত ব্যস্ততা, বাঁধা-বিপত্তির মধ্যে নিজেকে দেখে নিতে হয়, খুব ভালে করেই নিজেকে দেখে নিতে হয়। এই যে নিজের জীবনকে ভালোবাসতে গিয়ে তাকে ঘরের বাইরে গিয়ে যে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয়, কিন্তু কবির মন থাকে ঘরে; তখন সে মনে করে তার কর্মময় হাত সে খুলে বাইরে ছুঁড়ে দিয়েছে, কাজ শেষ হলে জীবনকে বাঁচিয়ে রাখার রসদ নিয়ে সে ঘরে ফিরবে। পৃথিবীতে প্রাণ ধারণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো- রোদ বা খাদ্য কবি একেই কবিতার তুলনায় নিয়ে আসলেন। ঐ যে বলেছিলাম, কবি কখনোই জীবনকে ভুলে না বরং জীবনের আলপনা রাঙাতেই তিনি অন্যসব উপাদান জড়ো করেন। তার এতোসব কর্ম সেন্সর কারার জন্যই নিজের রূপ তার দেখে নিতে হয়।
সুখসমগ্রে কবি ছোট ছোট লিরিকে লিখলেও কিছু কবিতায় তিনি স্ট্রাকচারালি এক্সপিরিমেন্ট করেছেন, যা আমাদের কাছে নতুন মনে হয়েছে।
“ক্রম ব্যতিক্রম” কবিতায় তিনি চূড়ান্ত এক্সপিরিমেন্ট করেছেন। একটা কবিতাকে চারটা ভাগ করেছেন। শুধু পাঠ করলে মনে হবে চারটা আলাদা কবিতা কিন্তু একটু মনোযোগী হলে বুঝতে বাকি থাকে না একই অখণ্ড ভাব ও বোধ পুরো কবিতার শরীরজুড়ে বহমান।
প্রিয় মানুষের মৃত্যু সব সময়ই আমাদের জন্য বেদনার। কবির প্রিয় প্রিয় মানুষের মৃত্যু কারবালার বিষাদের মতো আকাশ পাতাল কাঁপিয়ে দিয়ে যায়। কবি সেসব ভুলতে চায় কিন্তু স্মৃতি বড় নিষ্ঠুর বারবার সে আমাদের স্মৃতিতে ফিরে আসে এবং যন্ত্রণায় দগ্ধ করে। এই যন্ত্রণাই আমাদের নিয়ে যায় গ্রন্থের শেষ কবিতায়।
মানুষের যেন সত্যিই একটা গোপন চোখ থাকে যা দিয়ে মানুষ অন্যভাবে দেখে নেয় নতুন কোন জীবন বা মৃত্যুকে। প্রতিটি জীবনেরই থাকে আরো শত শত জীবন। এক জীবনের কানা গলি দিয়ে দেখে নেয় আরো জীবনের অপূর্ব রঙ। প্রতিটি জীবনই বিচিত্রের বৈচিত্র্যতায় ভরপুর। আমরা শেষ কবিতাটা পাঠ করেই পাঠালোচনা শেষ করি-
বিচিত্রতায় মেতে আছে প্রকৃতির পিঠ
পিঠের উঠোনে মাতে প্রজাপতি মন
হেলে দুলে ফুলে ওঠে নিত্যনতুন
আকাশজুড়ে তারার মিছিল
ক্রমশ হামাগুড়ি দেয় বিচিত্রের বৈচিত্র্যতায়।
(গোপন চোখ)