নদীচরিত
ছিঁড়ে যাওয়া নদী দিয়ে বানানো তছনছ
কুলুকুলু কথা হয়
ঘুপচিঘরে এই বায়ু ঢাকে
শাড়িপেড়ে যাবজ্জীবন
অট্টহাসি ঠিকরে দাঁত কামড়ে চলে
⇽দ্বিকূলবসতি⇾
মানুষ ভেঙে বালুচর―কী শোভা দাবনাজানু
অববাহিকা চলন
আমার ঈষৎ স্লেজিং
মাত্র নূপুর খেলা
বিবি-গোলাম তরজমায় জল
⇽পায়⇾
বাহানা ছুঁয়ে ইন্ধন
জনমপিছু
মুখচোরা হানাঢেউ আনবাড়ি যায়
অলিতেগলিতে লাগাম ফারাক্কা-লোটন বাঁধে
দৃশ্যখেত
দূর দিয়ে বহুদূর ছড়ানো
যতসব এত এত
দাঁড়িয়ে সাজ
যদি গিয়ে
পার্শ দিকে তোলে
গুম্ফান
টুকরো এই নবীন বিন্দাস
থালার পরের গোল
বর্গক্ষেত্র
ঘনফুট নেশাঘোর
হাতরে কামকাজ শেখাবে আর সে মনপ্রাসাদির হয়ে
নে রে নেড়ে
হাসির কান্তার
এই হাতবোমা ছুড়ে
থেঁতলে দেবে রুরুক্ষেত্রের ঝিমিলি লন্ঠন
ওই পুরের এতস্র পিনাক
সাজোয়া শিহরন একাকার
তোমার দিকে আমাকে
পুংকেত
বগি বগি ভাব অথবা বিন্যাসের লাগোয়া দূরকাল
এনকাউন্টার
দুলছের নিচে গিসগিস
ক্রিয়া দিচ্ছে লহরি
মীরাবাঈ বাহানায় পারের এমুখ-ওমুখ বøজব
শোয়ার পরে দেহভৈঁরো
উদছে তো নামছে দরাম স্প্রিং
ডবলডেকারের গায়ে টরেটক্কার ছিনিমিনি
রওজা আনাড়ি বুলেটিন
টর্পেডো হলেও
কামিনীর অজানা ফুলকোবে চন্দ্রবোড়াখেল
শ্যাওলাটোলের যতরম বংশীয় পাওয়ারটিলার
ইচ্ছাকেন্দ্রের আরামে
থুয়ে পোজিশন
কানকোয় খেলবে উপেনটিবায়োস্কোপ—
ঢেউয়ের বদলা বুমেরাং টিয়ারশেল
উপদেহকূল
এতর পর উঁচ্চু এরও উপরের চারিসীমা
কোজাগরী>জাগরি
ডোম্বিনী রাত অমন বোঁটায় খুঁজছে আরও মুঠি মুঠি
দাউ… উদাউ
ভাঙাপাখি পাখিডানা
বহুতলা তীব্র ঘিরে এত শরীর জাগা সুস্বাদু মউলা
ঝোল
রাতের বিদেহ ডিনার ↑
ব্লেন্ডারে নওলনটী উঠছে
ঘরে রঙ্গবিড়ালি কুস্তিগির
মিলঝিল ধরে রোদ্দুরমাখা ডুব
ঢেউ
সাঁতার
ক্বনণ
জ্যা ছিঁড়ে জ্যা
মিতি টপকে জ্যা
জ্যামিতি ভেঙে টঙ্কার
ট্রিগার মাত্র জানা আরোহন ঝুল্লেছে আলগা উঁচুতা
ওই
আকাশদিকের অবকাশ এক্ষণ লাগুলি লাগুলি গোলা গোলা
ফটোফ্রেম
ছবিটাকে
ছবিটা কে?
ছবির টাকে
হলো রাখা ছবিকে
এই চিত্রকথা চিত্র হবে কথা বলা চিত্রালি এলবামে
বামে যে খ তিনিও নিতি ছোঁবি ছোঁবি ভোঁ
ক’রে
ফটো অ্যালবামে
হয়েছে রকস্টার
স্টার জধি বর্তমান
দেয়ালের ইনি, ঝুলোচ্ছে ঐ―
ফটোফ্রেম
ঠিকঠাক নয়, স্মৃতির আবছা
সেই ছবিবোন (প্রতিবেশি)
কোনো এক ছোটোর আদুরে আপন হয়তো
নাম কাঠামো
ঘরে এসে
দিদিছবিকে,
অনুজ্ঞা, ‘দিদি, ছবি কে?’
ছবির হারানো আমি
জিজ্ঞাসাচ্ছি
হ্যাঁ রে ছবি, ঐ যে ছবি, আসলে ছবিটা কে?