ঘড়িটি খাইরুন্নাহারকে চিনতো
(অ)সম্ভব ছিলো কি! যখন কথা বলছে রেলগাড়ী আর আতঙ্কে জুতো পরছো না। গাছের ডালে বসে পা দোলাচ্ছে ফল, একটা মাথাখারাপ ঘড়ি গিলে ফেলছে নিজেরই পেণ্ডুলাম…
ঘ ড়ি আর ঘ ড়ি…
মাতাল ঘড়ির কাঁটা ঘোরে
চাঁনকপালীর কপাল পোড়ে—
কঠিন কিছু মানসাংক আর ব্লাউজের মাপ নিয়ে নীরিক্ষা চলছে। অতনুকে চাকরি দিচ্ছে না সামান্য ভ্যানগাড়ি। যথাক্রমে সাত ও সতেরবার উলু দেবার পরও স্বপ্ন ভাঙছে হাস্না ও হেনার।
কোথায় যাবো বল হরি
থামাও ঘড়ি পায়ে পড়ি—
কেউ আসমান থেকে এসেছে, কেউ মাটি থেকে। মাঝমাঠে বিছিয়ে রেখেছে নীল নীল মেটে মেটে জীবনযাপন। ভাঙা আয়না ছুড়ে ফেলতে গিয়ে চারতলা থেকে নিজেকেই ছুড়ে দেন খাইরুন্নাহার।
থামবে ঘড়ি সময় কই!
যার পোড়ে তার সমস্তই—
মেঘ বলো না, বলো ধোঁয়া… সময়ের আঁচে পোড়া মিথ্যে বারবিকিউ আর ইডিয়টিক দাঁড়িয়ে থাকাগুলো।
ফুলের কফিন
তৃতীয়ত—চুরমার কাচের চুড়ি আর পঙ্গু আসবাবের মধ্যে বসে আমরা নিজ নিজ প্রেমে তা দিচ্ছিলাম। আজ, সূর্যের উদয় হয়নি তাই দৃশ্যে কোন সূর্যাস্ত নেই।
ফ্লাওয়ারভাস/ফুলের কফিন/বাড়তি কিছু আয়ুর গল্প…
ফুলদানি যাও ফুল কুড়াও
প্রেমের শ্রাদ্ধে ফুল উড়াও—
ভাঙা ভাঙা প্রেম আর আলসেমি; বংশীবাদক স্নানে গেছে; ফল দেবো, ফুল দেবো না কেন জানতে পড়ে নাও সহীহ অযুহাতনামা।
ফুলদানি গো, ফুলবাহার!
রেশম রেশম চুল তাহার—
মৃতের বন্ধুরা সাইকেল চালিয়ে আসে; মৃতের প্রেমিক হয় আকাশমনি গাছ; মরাফুল ঝরাফুল সিনেমার টিকেট কেনে, সিনেমা দেখে না।
ফুলদানি গো—প্রেমের ফাঁদ
সবগুলো ফুল মরা চাঁদ…
ডিয়ার ক্রিটিকস…প্রেম কি জানেন তো! ফুলাদানিকে পেতে ফুলেরা স্বেচ্ছেমৃত্যু বেছে নেয়, ভাবতে পারেন!
উর্ণাজাল
ঘাসের আর ফড়িংয়ের নিজস্ব কানুন/একগামি গাছেদের নষ্টা প্রেমিকা/ফালি ফালি কসম আর চুমু…
স্তনের কার্নিসে মাকড়শার জাল, সেন্সর বোর্ডে আটকে থাকা দশটি দৃশ্যের কোলাজ আর সিরিজ কবিতা।
তাচ্ছিল্যের ব্লেড-রেজারে কাটা পড়ছে…
দুঃখ ১৭টি
হতাশা ৪/৫টি
স্মৃতি ১১ টি (কমপক্ষে)
যৌনচিন্তা ও হস্তমৈথুন গুনছি না আপাতত
ডু ইউ লাইক শেভড?
আচমকা প্রশ্ন করেই মেহরিমা ডাকবাক্সের দিকে উড়ে গেল, পরবর্তী দশ বার অক্ষর নীল নীল, হাতাকাটা ব্লাউজ পরে কেউ আর ফিরছে না।
পরের এপিসোডে… মাকড়শাটি পুনরায় বগলে ফিরে এসেছে। ফলতঃ আবারও জন্মাচ্ছে দুঃখ, হতাশা, একাকীত্ব আর হস্তমৈথুনের মতো ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব ও দ্বিধা।
হরতনের বিবি
আজ আরো নরম করে গাইবো। তাসবাড়ি আর আমাদের ছিন্ন বসবাস, পিপাসা—প্যাণ্ডেমিক আর প্রেমসম্প্রদায়…
চুলখোলা হরতনের বিবি/পৌষরাতের কলাবউ/শেষ তাস—দীর্ঘশ্বাস!
আমার বিবি হরতনের
পিরিত জানে চার রঙের—
জোৎস্ন আর জোৎস্না; লাল লাল কামিজের কাছে হেরে বসে আছি, এই দানে মন তুলে দেবো।
বিবি তোমার নাচ ভাল
তোমার ঠোঁটের আঁচ ভাল—
কপর্দকশূন্য… পয়সা ও কড়ি ডুবে গেছে হাওয়ার শৃঙ্গারে। অথচ…অ থ চ… তুমি চকচকে পয়সার মতো সুন্দরী, তোমাকে হারিয়ে ফেলতে ভাল লাগে।
থুলাম হৃদয় জুয়ার দানে
আমার বিবি জিততে জানে…
বনে ফুল…হরতনে চুলখোলা বিবি…তার হাতে খাপখোলা খঞ্জর, এই দানে পুনরায় ওভারট্রাম্প হোক।
শিমুলরঙা অন্তর্বাস
মেয়েটি; আপাদমস্তক সাদা সাদা তুলো আর মেঘের মিশেল!
সুতরাং—
বুকভরাট বাতাসের গম্বুজ ঢেকে দিচ্ছে লাজরক্তিম শিমুলফুল!
ব্রেসিয়ার আর ব্রেসিয়ার
লাল! যতটা লাল!
ফলপ্রসু চুম্বনের শেষে চাক্ষুষ করেছি আলতার টুপটাপ, তিরতির শিরশির…
পরসমাচার; অসতর্ক রাতে হঠাৎই হিজল হয়েছি। হুল খেয়েছি বোলতার, তড়পাচ্ছি।
বিষের নহর,
উপশিরা উপচে পড়ছে আর দীর্ঘতম রিনিঝিনি
বাজছে শরীরে!