কালো পতাকার শোক উড়ে মনের চারদিকটায়
মনের উঠোনে মেতে থাকা কথার মুখখানি প্রত্যুষে চুপ হবে তা কেউ ভাবিনি
শহুরে কাক ভোরের শিশিরের মতো চমকে দেয়া কিরণ ঝলসে বুক ফোঁরে বেদনা দিবে
সে আশায় কখনোই বুক বাঁধেনি প্রকৃতি
আদরের মুখে কালেমার মধু জপে উড়াল দিতে সেই সকালটাই কি চেয়েছে কবি
নতুন প্রভার সান্নিধ্যে নব গল্পের ভবিষ্যৎ থেমে যেতে যেতে আসে সোনালী রোদ
গোধূলি সূর্য মেঘের পর প্রভাতের রূপ ধরে
অদ্ভুত সময়ের কৃপায় করুন সাইরেন বেজে যায়
পেরোতে থাকে ঘন্টার আবেগ ধরানো পথ
অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণে অশ্রুপ্লাবিত সবুজ থমকে মরু বুকে কি আশা সজীব হবে
কি ভাবনায় পাথর গলে লেখা হবে কবিতা
বৃষ্টি ঝরে
প্লাবন রেখায় বর্ণিল সড়কে কালো স্রোত কি সম্ভার দিবে
মেঘের পর মেঘ এসে জীবনের পারাপারে ছ’জোড়া কালো চোখ আষাঢ়ের জলে ডোবে….
বিজ্ঞাপন
গাঁয়ের নোনাধরা নরম মাটির বেড়ে উঠা গতরে
কস্মিনকালের দুঃখ ঘোচানো বাহুবল
পান্তা ঝোলে গরম মরিচ গলে তরতর গড়িয়ে যাওয়া ঘাম
কান্না ঝরাতে পারেনি
পারেনি দুশ্চিন্তার থামাল গড়তে
যেমনটা তুমি গড়লে, প্রকৃতি!
হেরিং বন্ধুর পথে লক্কর ঝক্কর গান গাওয়া চাক্কার তালে
ঘামে কাহিল গাড়িয়ালের হাড্ডিসার স্বপ্নবিলাস
একদিন টিন ওলা ঘরে কৃষাণ আদর যাপনায়
চলতে চলতে আমিও যে গুনেছিলাম
গুনেছিলাম, শতত বহুতলের কংক্রিট লালন
গড়তে চলবো হঠাৎ করে এলে তুমি
নিঃস্ব দুদন্ডে দুখানা চটি জ্বলে
না বলতে পারার যাতনা কেউ বুঝে না
সে বুঝে, বুঝেও কথা বলে না!
প্রকৃতি তুমি আবার কবে বুঝবে
স্বপ্নে রঙিন মাস্তুলে চুলা জ্বলছে না আর
ভালোবাসা বলছে এনে দে আহার
কতোদিন থাকবো নিশ্চল ভুখা আর
পারছি না আর পারছি না
বেচবো এবার স্বপ্ন রং
স্বপ্নে কেনা বাড়ী
বিজ্ঞাপনে গড়ে দেবো বর্গী তোমার চাড়ি
নিঃস্ব অম্ল যন্ত্রণা একাকী বজ্র উপহাস
সব ছেড়ে যাবো
কল্প মায়ার প্রিয় গ্রামটায়!
ভার্চুয়াল
সুখ, রঙিন পাখি হয়ে উড়ে
নীলে ভিজে ছোপ ছোপ শুকনো পাতার মড়মড় বাঁকে নিষ্পেষিত আকারে বিবর্ণ গোলাপে ছুটে সুপ্রিয় মায়ার আখড়াতে।
যেখানে প্রত্যহ খেলা করে আমার ছেলেবেলা
অভিমানে বাসন্তী পুড়া কড়া বাতাসে কালোকেশী মুগ্ধ জয়ন্তীকা বারে বার আড় চোখে চায়
তখন বেদনার আঁকাবাঁকা সুরে নেউলে ঘুম পাড়ানো গান ধরে
আর এখানে আমার গল্পগুলো মুখ থুবড়ে পড়ে মরে নিষ্পলক করুণাতে মায়াকান্নার আবছা আলোর রেখা অস্পস্ট ভেসে ওঠে
আমি তাকে ছুঁই নীল প্রজাপতির ডানা ভেবে
হোচটে পড়া পোড়া গা গলে দেখেছি ছোট্ট সুখ
সে সুখে বহুদুর চরে চলতে চলতে বেমালুম ভুলেছিলাম একটি কথা।
কে ছিলে তুমি
তা কি ছিলো আদর মাখা আঁচল রেখা
না কি নির্ভরতার আঙুল!
হেসেছিলে তুমি
সে হাসিতে আমি নির্ভরতা খুঁজে পেতাম
পেতাম প্রিয় প্রশান্তির আশ্রয়
জাগতিক স্বর্গের রুপে মুগ্ধ হয়ে ভাসছিলাম। ঘুময়েছিলাম সে মুগ্ধতার আয়েশে
হঠাৎ ভোর হবার আগে আগ্রাসী স্বপ্ন জাগিয়ে দিলো ঝিম ধরা চোখে দেখছিলাম ভেসে ওঠা এক সহসা শব্দ
ভার্চুয়াল মানে অদেখা এক প্রপঞ্চ
যেখানে ভাঙলে কিছু যায় আসে না।
তোমাতে
শর্ষের বিন্দু আঘাতে ভূলন্ঠিত না হলেও
অপবাদের বিছানায় দোলাতে পারো সহজেই
মহাকালের রাত্রি জেগে শত পাপের ভাগী হলেও
অচিন পাথরের মিথ্যে গড়ানো আঁচড়ে ক্ষত করে দিতে পারো সহজেই
বিড়ম্বনার মধ্য আকাশে শ্বাসরুদ্ধ হলেও
তোমার বাণীতে মৃত আমি হারাই দিশে সহজেই
বজ্র মেঘের সাথে মিত্র অণু হলেও
তোমার স্ফুলিঙ্গের পোড়াতে দাগী হত হই সহজেই
বন্ধুর সড়কে দুর্বার যাযাবর হলেও
চৌকশ কালিতে গভীর খাদে বিলিন হই সহজেই
কঠিন বরফ শোকে ক্লান্ত না হলেও
তোমার সরল ফাঁদে পড়ে যাই সহজেই
সহজ সহস্র অনুযোগের রেশ শেষ না হলেও
নিভু প্রদীপের আলোর সাথে রয়ে যাই সহজেই
শহরের কানে শেয়ালের হাঁক
বনলতা লাজুক পাতা ছুঁয়ে জেগে জেগে স্বপ্ন বুনতো
পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে অচেনা পড়ে থাকা হাড় কংকর বিস্তীর্ণ জল
বাঁকানো খালে সমুদ্রে একটি সময়ের গল্প ঢলতে থাকে
চাঁদ থাকে না আবার কখনো থাকে
আমি চাঁদ দেখতে ভালবাসি না
রাতকে ভালোবাসি
অনেক প্রেতাত্মার জন্মদাতা হতে চলছি
ধ্বংসের দুশমন্ত হাতে জ্বালিয়ে ছাড়বো
ভালো সেজে থাকা এক তোমাকে
তুমি নগন্য
সঙের চালে তোমার আদুল নৃত্য
অতীত আকাশে ঝড় তোলে
কামুকি জল ঝরে অটল পিন্ডে
জলছবি হয়ে থাকা ছায়াতে বার বার হেরে যাই
আমি হয়তো শহর তোমার যোগ্য নয়
যতোটা চেয়েছি কোন সং নেই
হতে পারে দুর্ভাগার ছোট্ট প্রশ্বাস ছিলো
হতে পারে আমার জীবন সংসার বদ্ধ মুন্ডিত লেখকের ছেঁড়া কাগজের দুঃসহ আর্তনাদ
হতে পারে পাপের ভারী কোন আমলের আভাস
বলতে পারো, আমি কি
আমার চোখে কি জল নেই
বুকে কি ব্যাথার আঁচড়ে ক্ষত পড়ে নি
বেঁধে কি যায়নি শত সহস্র আঘাতের টিউমার
ভাবো গো শুধু একটুখানি ভাবো
প্রতি সময়ের মাঝে ইন্দ্রিয়ের কথাগুলো ভাসা শ্লোকে হারাতে পারে না
পারে না হঠাৎ কোন প্রলয়ের আঘাতে চূর্ণ বিচূর্ন হতে
আমি ছোট কুঁড়ে স্বপ্ন দেখেছি
বুননে সাজাতে চায় তোমায় নিয়ে
শহর তুমি কি বুঝতে পারো
ঘর বাঁধা স্বপ্নে
পাষন্ড ফ্রডবাজের আনাগোনায়
শেয়ালের হাঁক শুনে বধির প্রাণ পড়ে মরছে
বিবস্ত্র শরীর পচে
হতে চলেছে দুর্গন্ধ
একদিন পুরোধা পচে যাবো
নষ্ট হবে পুরো শরীর
আর আমিও অদেখা রোদে জ্বলতে পুড়তে চলে যাবো
ক্ষতবিক্ষত স্বপ্ন পুড়া ভবঘুরে হয়ে।