কৃষিবিদ
মা কৃষিবিদ
গাছেদের মনে করতেন সাত রাজার ধন
কিছু দৃশ্য আমি দুপুরের ভাঁজ খুলে
দেখতাম-
যেমন মা খুঁটি দিচ্ছে জংলায়
লিচুগাছে টিন – ইট বেঁধে দু’ একটা বাদুড়ের
বিষণ্নতা তাড়াচ্ছেন বাবা
মা আর বাবাকে এক করে
মাঝে মাঝে সংগঠিত হইতেন দাদা
সবুজ হতে সংকল্প হতে এ পর্যন্ত
মা, এই মেটাফরের দুনিয়ায়
কখনো ভুলে যেত
প্যারালাইজড অসুখের ওষুধের নাম
যখন বদনা দিয়ে পানি ঢালতেন
লাউগাছটির গোড়ায়
যে যাচ্ছে, সে যাচ্ছে
প্রতিদিন মানুষ মরে যায়
একটা আয়নাঘরের বন্দিবৃত্তে
প্রতিদিন ঘরে ঘরে ঢুকে পড়ে নীরবতা
পৃথিবী ঘুমায় মানুষে হেলান দিয়ে
অমরত্বের বিছানায়
যে যাচ্ছে, সে যাচ্ছে
তার কোন স্বশরীর নাই
নাই বেঁচে থাকার কসরত কিংবা
কৌশল, যেন ছেদ
ভ্যালেন্টাইন
এত এত ফুল, একটা শব্দের পাখির
বসন্ত পরমার্থ
গোলাপে সকাল দুপুর রাত্রি
গড়িয়ে পড়ছে সোহাগে
কেউ কেউ বলে-
প্রেমের থাকে নিজস্ব জগৎ
তা জেনে আমিও ধরি
ক্ষয়ের পৃথিবী
যেখানে ক্ষয়ে গেছে আমার
শিশুতোষ হাত
আজ দিন যায়, আজ ভালোবাসার
দিন যায়
প্রেমিকা কী জানে তার আশ্চর্য ক্ষরণ
অনুচিত
উচিতপুর পাঁচ মিনিটের পথ
পথ একটা পাতার সঞ্চয়
যা মাড়িয়ে গেলে মনে পড়তে পারে
মায়াবী মুখের পরমতা
পরমতা আত্মার নিরাময়
যা গোপন উদ্বেগ নিয়ে ভাবাতে পারে
উচিতপুর যাওয়া হবে কিনা
অনুচিত, যেখানে মিনিট পাঁচের পথ
রাত
রাত বাড়তেছে
বাতাসে শীত আসার বিলাপ
মৃতের মতো স্থির আমার খেয়াল
এমন রূপান্তর কলাপাতায়
যেন সৌন্দর্য বিত্তবৈভব
আকাশের তারাগুলোও চোখ টিপি মেরে
বেড়াচ্ছে শহরময়
আর এদিকে স্নায়ুর আয়ূতে বাড়ছে
এক নার্সিসাস পরিচয়